জীবন ও কর্ম

২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি’র সামনে অভিজিত রায় ও তার স্ত্রী বন্যা আহমেদ নৃশংসভাবে আক্রান্ত হন। ঘাতকদের চাপাতির কোপে অভিজিত এবং বন্যা মাথাসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় গুরুতর আহত হন। বন্যা প্রাণে বেঁচে গেলেও ওর হাতের একটি আঙ্গুল কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই। অভিজিত প্রাণ হারান।

অভিজিত শুধু একজন বহুলপরিচিত লেখকই ছিলেন না, ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রাণবন্ত মানুষ এবং একটি হৃদয়বান বাবা, স্বামী, ছেলে এবং বন্ধু। আমেরিকাপ্রবাসী অভিজিত ছিলেন একজন সক্রিয় ব্লগার এবং যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তক এবং নিরীশ্বরবাদীদের জন্য প্রথম বাংলা আন্তর্জালিক প্ল্যাটফর্ম ‘মুক্তমনা’র প্রতিষ্ঠাতা। আরো পড়ুন >

জন্মদিন উপলক্ষে লেখা

অভিজিতের প্রবন্ধ ও সাক্ষাৎকার

নিহত অন্যান্য ব্লগারবৃন্দ

  • আমি নাস্তিক। কিন্তু আমার আশে পাশের বহু কাছের মানুষজন বন্ধু বান্ধবই মুসলিম। তাদের উপর আমার কোন রাগ নেই, নেই কোন ঘৃণা। তাদের আনন্দের দিনে আমিও আনন্দিত হই। তাদের উপর নিপীড়ন হলে আমিও বেদনার্ত হই। প্যালেস্টাইনে বা কাশ্মীরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্য বোধ করি না। অতীতেও দাঁড়িয়েছি, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবো। এটাই আমার মানবতার শিক্ষা।
  • জীবন সাজুক যুক্তির আলোয়, জীবন গড়ুক মুক্তবুদ্ধির চেতনায়।
  • আজ ইন্টারনেটের কল্যাণে বিশ্বাস এবং যুক্তির সরাসরি সংঘাতের ভিত্তিতে যে সামাজিক আন্দোলন বিভিন্ন ব্লগ কিংবা ফোরামগুলোতে ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে, তা আমরা মনে করি প্রাচীনকালের ব্রাহ্মণ-চার্বাকদের লড়াইয়েরই একটি বর্ধিত, অগ্রসর ও প্রায়োগিক রূপ।

অভিজিতের মৃত্যুতে বিশ্বপ্রতিক্রিয়া

বিদায় অভিজিৎ

অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদ